ALL OF IT PRODUCT

PRODUCT REVIEW

সর্বশেষ প্রযুক্তির কিবোর্ড, মাউস থেকে শুরু করে হার্ডড্রাইভ, র‌্যাম, প্রসেসর,প্রিন্টার, সুইচ রাউটার মোডেম, স্ক্যানার মাদারবোর্ড, ওয়েবক্যাম, পেনড্র্রাইভ, আইপি ক্যামেরা সহ কম্পিউটারের ও অন্যান্য যাবতীয় হার্ডওয়্যার ও এক্সেসরিজের জন্য ভিজিট করুন প্রোডাক্ট পেজ:

১.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ বিশ্ববিখ্যাত ব্রাণ্ডেড ওয়েবক্যাম মাত্র ১৭০০/=

২.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ ব্রাণ্ডেড ইউপিএস মাত্র ৩২০০/=

৩.লাইফ ওয়ারেন্টি সহ র‌্যাম মাত্র ১৪০০/=

৪.বাসা বা অফিসের ফ্যাক্টরির যে কোন স্পর্ষকাতর স্থানের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারির জন্য আইপি ক্যামেরা মাত্র ১০,০০০।

৫. পকেট ওয়াই-ফাই রাউটার যা দিয়ে ৫০ গজ দূরত্বের মধ্যে খোলা মাঠে ময়দানে বা কোন চত্তরে কমপক্ষে ৫ জন বা ততোধিক ব্যাক্তি তারহীন ইন্টারনেট ব্যাবহারের অবিশ্বাস্য সূলভ মুল্যের ওয়াই-ফাই ডিভাইস।

এ ধরনের আরও অনেক চমকপ্রদ কম্পিউটার,নেটওয়ার্কিং ও আনুসাঙ্গিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত খ্যাতনামা ব্রান্ডেড কোম্পানীর যাবতীয় ডিভাইসের জন্য ভিজিট করুন :প্রোডাক্ট পেজ।

PRODUCT PAGE


ALL OF NEWSPAPER

undefined

E COMMERCE

BANGLA PAPER

ENGLISH PAPER

ঊর্মিল সৈকত টেকনাফ:

টেকনাফ শহর ছাড়িয়ে দক্ষিনে প্রায় পাচ কিলোমিটার দূরে টেকনাফ সমুদ্র সৈকত। খুবই পরিচ্ছন্ন এ সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা সব সময়ই কম থাকে। এত পরিচ্ছন্ন সৈকত বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই। টেকনাফ সৈকত দেশের অন্যান্য সমুদ্র সৈকতগুলো থেকে একেবাইে আলাদা। পুরো সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে জেলেদের মাছ ধরার বর্ণিল সব ইঞ্জিন নৌকা। লাল, নীল, বেগুনী ইত্যাদি বাহারি রঙের পতাকা দিয়ে জেলেরা এখানে তাদের নৌকাগুলোতে সাজিয়ে থাকেন। নৌকাগুলোর গায়েও থাকে রংতুলির বর্ণিল আচড়। এ ছাড়া এ সৈকতের কিছু দূরত্বেও ব্যবধানে আছে ঘন ঘন ঝাউ বন। সৈকত লাগোয়া এখানে আছে জেলেদের বেশকিছু বসতি।

পূণিমার জোয়ারের ঢেউ টেকনাফ সৈকতে বিশাল আকার ধারণ করে। সৈকতের মূল প্রবেশ পথ থেকে হাতের বা দিকে চলে গেলে যাওয়া যায় শাহ পরীর দ্বীপের কাছাকাছি। এত সুন্দর, এত সাজানো বেলাভূমি যেকোনো ভ্রমনপাগল মাুনষের কাছেই ভালো লাগবে। এ ছাড়া হাতের ডান দিকে চলে গেলে যাওয়া যাবে হ াজামপাড়া, শিলখালী বিংবা শ্যমলাপুর সৈকতের দিকে। এখান থেকে উত্তর দিকে সৈকতের পাশ দিয়ে আকাশ ছুয়েছে তৈঙ্গা পাহাড়। সাগর আর পাহাড়ের এতো সুন্দর বন্ধুত্ব কেবল এখানেই দেখা সম্ভব। টেকনাফ সমুদ্র সৈকত এখনও পর্যটকদের কাছে খুব পরিচিত জায়গা নয়। তবে যারা নির্জনতার কাছে থেকে প্রকৃতিকে খুব আপন করে উপভোগ করতে চান তাদের জন্য এ সৈকতের কোনো বিকল্প নেই। টেকনাফ সৈকতের আরেক বিশেষ আকর্ষণ সকাল-বিকাল জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করা। চিংড়ি পোনা শিকারিরা এ সৈকতে নিজস্ব কৌশলে সর্বদা ব্য¯ত থাকেন পোনা ধরতে। আর দূর সমুদ্র থেকে নৌকা বোঝাই মাছ নিয়ে শত শত জেলে এখানেই নিয়ে আসেন সকাল-বিকাল।

টেকনাফ শহর থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশায় সৈকতে আসতে সময় লাগবে আধা ঘন্টার কম। সতর্কতা: টেকনাফের কোনো সমুদ্র সৈকতেই নেই কোনোরকম লাইফ গার্ডের ব্যবস্থ্ া তাই জোয়ার-ভাটার সাংকেতিক কোন চিন্তও থাকে না এ সৈকতে। তাই সমুদ্র স্নানে নামলে আগে থেকেই নিজ দায়িত্বে জোয়ার ভাটা সম্পর্কে জেনে নিন। কোনো অবস্থাতেই ভাটার সময় কিংবা একাকী সমুদ্রে নামবেন না জোয়ার ভাটার সময় জানার জন্য স্থানীয় জেলেদের সহায়তা নিতে পারেন।
কীভাবে যাবেন:
কক্সবাজার থেকে বাস ও মাইক্রোবাসে টেকনাফ আসা যায়। বাসে এখানকার ভাড়া ৮০-১২০ টাকা। আর মাইক্রোবাসে ১০০-১৫০ টাক্ া কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাস ছাড়ে আন্ত:জিলা বাস টার্মিনাল থেকে আর মাইক্রোবাসগুলো শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে ছাড়ে। ঢাকা থেকেও সরাসরি টেকনাফ যায় সেন্টমার্টিন সার্ভিস (০১৭১১৩২১১৪৩, ০১৮২৩০০৪৪৮৮) , সিলভার লাইন (০১৮২২৯২৩৬৩) পরিবহনের এসি বাস যায় টেকনাফ। ভাড়া ১১৫০-১২৫০ টাকা। এ ছাড়াও ঢাকা থেকে শ্যামলি, এস আলম, সৌদিয়া, হানিফ ইত্যাদি পরিবহনের নন এসি বাস যায় টেকনাফ। ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ থেকে সাধারণত এ পথের বাসগুলো ছেড়ে আসে। ভাড়া ৬৫০-৮০০ টাকা। কোথায় থাববেন: টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে থাকার জন্য আধুনিকতম জায়গা সেন্ট্রাল রিসোর্ট লিমিটেড। টেকনাফ সমুদ্র সৈকত লাগোয়া এ রিসোর্টে বসেই উপভোগ করা যায় সমুদ্রের সৌন্দর্য। এ রিসোর্টের স্যুইট রুমের ভাড়া ৪০০০-৪৩০০ টাকা, ইকোনমি রুমের ভাড়া ১৫০০-১৮০০ টাকা। এ ছাড়া এখানে সাগরকনা, মেঘ বালিকা ও নীলাচল নামে তিনটি কটেজ আছে। প্রতিটি কটেজে আছে দুটি করে কক্ষ। এর প্রতিটি কক্ষের ভাড়া ২০০০ টাকা কর্ ে যোগাযোগ: সেন্ট্রাল রিসোর্ট লিমিটেড, টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, টেকনাফ কক্সবাজার। ফোন: ০১৮৩৮৩৭৯৩৭২-৭৩, ইমেইল: ঢাকা বুকিং অফিস সর্দার প্লাজা , ৫ ম তলা, ৯৬, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরনী , নর্থ সাউথ রোড, ঢাকা -১১০০ ফোন: ০২-৭১৬৫৫২৮, ৯৫৫০৯১৪, ০১৭১১৫৩৪২০৫।

বিস্ময়ভরা সুন্দরবন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্রে ভরপুর বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) সুন্দরবন। এখানকার সবকিছুই বিস্ময়ে ভরা। প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট এই সুন্দরবন ২৪ ঘন্টায় কমপক্ষে ছয়বার তার রুপ বদলায়। এসব মোহনীয় রুপের সাজ পর্যটকদের মোহিত করে তোলে।

এ ছাড়া কচিখারী সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগতো রয়েছেই। এ কারণেই দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক এখানে ছুটে আসেন সৌন্দর্য উপভোগ করতে। সুন্দরবনের করমজল বন্য ও কুমির প্রজনন কেন্দ্র, হারবাড়িয়া ইকো সেন্টার, কটকা, কচিখারী ও নীলকমল অভয়ারন্য, শেখেরহাট টেম্পল, কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টার, মান্দারবাড়িয়া অভয়ারণ্য নামের স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত।

এসব স্পটে কুমির প্রজনন, অসুস্থ্য হরিণের পরিচর্যা, হাজার বছরের পুরনো স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। এসব স্পটগুলোতে বনের মধ্য দিয়ে ১ থেকে ৫ কিলোমিটার পায়ে হাটা কাঠের তৈরি পথ। (ওয়াক ওয়ে) করা আছে। পর্যটকরা ইচ্ছা করলে হেটে হেটে বনের ভেতরের পরিবেশের সঙ্গে মিশে যেতে পারবেন।
ভাগ্যসহায় হলে হাটতে হাটতে বানর, হরিণ, গুইসাপ, কাকড়া অথবা কুমিরের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্যও দেখতে পারেন। অল্প সময়ে কম খরচে সুন্দরবন ভ্রমনের স্বাদ নিতে হলে করমজলই শ্রেষ্ট। মংলা বন্দর থেকে নৌপথে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট নৌকায় চড়ে এখানে যাওয়া যায়। এখানে কুমর প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় অসংখ্য কুমির দেখতে পাবেন। সুন্দরবনের আরেকটি অভয়ারণ্য হিরনপয়েন্ট। এটি পুরো সুন্দরবন এলাকার বনেদি অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভারতীয় সমিান্ত থেকে ২৫ মাইল পূর্বে সুন্দরবনের সর্ব দক্ষিনে হিরণপয়েন্টে ফরেষ্ট অফিস ছাড়াও মংলা পোর্টের শাখা অফিস রযেছে। আছে নৌবাহিনীর ডেরা। ফরেষ্ট অফিসের উত্তরে নদীর ঠিক ওপারে বনটির নাম কেওড়াশুটি । এখানে প্রচুর কেওড়া গাছ আছে বলেই নামটা এমন। চারদিকে নদীঘেরা। পূর্ব-পশ্চিমে দুই মাইল আর উত্তর-দক্ষিনে আধা মাইলের কিছু বেশি জায়গায় মাঝখানে একটা অংশে গাছপালার রিমান কিছুটা কম। ভেতরে একটি মিঠাপুকুরের মতো আছে। সেখানে হরিণ পানি খেতে আসে। ভাগ্যসহায় হলে বাঘের পানি পানের দৃশ্যও দেখা যেতে পারে। আছে মাঠের পর মাঠ শন-বন। আর হেতালের জঙ্গল। তবে সাবধান থাকতে হবে বাঘ মামার খপ্পর থেকে। কারণ ওরা এসব বনে ছদ্মবেশে ঘাপটি মেরে থাকে। তবে বলে রাখা ভালো হিরণপয়েন্ট দেখতে হলে অবশ্যই দুই দিন সময় হাতে নিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে টুরিষ্ট জাহাজই উপয্ক্তু। খুলনা শহরে বর্তমানে বিদেশী মানের হোটেলসহ মানসম্মত অনেক হোটেল আছে। এর মধ্যে অন্যতম অভিজাত হোটেল সিটি ইন, হোটেল ক্যাসল সালাম, হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল, টাইগার গার্ডেন। এসব হোটেলের ভাড়া একটু বেশি। তবে এর থেকে অনেক কম ভাড়ার অনেক হোটেল খুলনা শহরে আছে।

সাগরকন্যা কুয়াকাটা

একই স্থানে দাড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগের দারুণ সুযোগ সাগরকন্যা কুয়াকাটায়। পর্যটকদের মুগ্ধতার বন্ধনে আটকে দেওয়ার বহু উপকরণ আছে ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই বিশাল সমুদ্র সৈকতে। রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্পট।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় রতাচাপলী ইউনিয়নে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার অবস্থান। ঢাকা থেকে সড়কযোগে এর দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার। আর বরিশাল থেকে ১০৮ কিলোমিটার, পটুয়াখালী থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং কলাপড়া থেকে ২২ কিলোমিটার।

কুয়াকাটাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্রোগ বহু আগে শুরু হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পর্যটকদের কেন্দ্র করে ইতমধ্যেই এখানে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, খাবার হোটেল প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। শীতের সময় ঠিক ঝাউবনের সামনে এসে দাড়াতে হবে এবং অন্যান্য মৌসুমে সি-বিচের জিরোপয়েন্টে দাড়ালেই হবে। সারাদিন বিভিন্ন দর্শণীয় স্পটগুলো ঘুরেফিরে শেষ বিকালে সবাই সূর্যাস্ত দেখার জন্য সি-বিচে ভিড় জমায়। সঙ্গে ক্যামেরা থাকলে ডুবু ডুবু সূর্যকে হাতে নিয়ে ছবিও তুলতে পারেন। বিচের পশ্চিম দিকে রয়েছে সুন্দরবনের পূর্বাংশ ফাতরার বন, লেবুচর, দুবলার চর, পূর্বদিকে গঙ্গামতির চর, কাউয়ার চর, ক্যাব ল্যান্ড ও সোনার চর। পর্যটককে অবশ্যই জেনে নিতে হবে এখানের জোয়ারভাটার সময। জোয়ার এলে সমুদ্রের রুপটাই পাল্টে যায়। ঢেউয়ের নাচন বেড়ে যায়। সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে গোসলের মজাই আলাদা। সাতার না জানলে ভাসমান টিউব ভাড়ায় পাওয়া যায়। ভাটার সময় মনে হয় মৃত সাগর। একদম প্রাণহীন। জোয়ারের পানি যতখানি বাড়ে ততখানি শুকিয়ে গিয়ে বিশাল সি-বিচ তৈরি হয়। সমুদ্রে গোসলের জন্য এ সময় অনুপযোগী এবং ভয়ঙ্কর। কেননা জোয়ারের সময় গোসল করতে গেলে স্রোত আপনাকে কুলে ঠেলে দেবে আর ভাটার সময় টেনে ভেতরের দিকে নেয়ে যাবে। এ নিয়মটি না মানলে বড় রকমের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভাটার সময় কখনই গোসলে নামা ঠিক হবে না। সুর্যোদয় দেখে নাশতা সেরে বেরিয়ে পড়তে পারেন বন অথবা দ্বীপগুলো দেখার জন্য। এর মধ্যে সুন্দরনের পূর্বাঞ্চল ফাতরার বন, ফিশ ল্যা-, ক্যাব ল্যান্ড, সোনার চর, দেখতে যেতে পারেন নৌপথে ট্যুরিষ্ট বোটে। সারাদিন বন, ্দ্বীপ ভ্রমণ শেষে দিনটা কাটিয়ে ফিরতে পারেন সুর্যাস্ত দেখার জন্র কুয়াকাটা সৈকতে । দুপুর বেলায় সি-বিচের একপাশে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল খেলা জমে ওঠে। এমনকি পর্যটকরা পুরস্কারের ব্যবস্থাও করে। কুয়াকাটার সি-বিচ রাতে যে কত সুন্দর ও মোহনীয় হয়ে ওঠে তা নিজ চোখে না দেখলে বুঝতেই পারবেন না। চাদনী রাত হলে তো কথাই নেই, চাদ ছুয়ে সাগরে আছড়ে পড়েবে ঢেউ। যা দেখে বিমুগ্ধ হতেই হবে। রাতের কুয়াকাটা উপভোগ করতে চাইলে সি-বিচ আসার বিকল্প নেই। প্রকৃতির নিপুন হাতে গড়া আকাবাবা রেকের দুই পাশে সবুজে ঢাকা অপরুপ সৌন্দর্যে ঘেরা গঙ্গামতি। যেতে পরেন নৌকা ট্রলারে। অথবা জিরোপয়েন্ট থেকে মোটরসাইকেল যোগে বা ভ্যান রিজার্ভ কর্ ে গঙ্গামতির সবুজ বন, মহিষের পাল ও লেক দেখা শেষে একটু সামনে গেলে দেখতে পারেন গঙ্গামতির বিশাল চর। কুয়াকাটার পূর্বাংশে দ্বিতীয় সুন্দরবন নামে খ্যাত ৩০টি সবুজ বনায়নের মধ্যে অন্যতম সোনার চর। খুব কাছ থেকে হরিণের দেখা মেলে এই চরে। ২০০ একর জমির ওপর এই ’ফয়েজ মিয়ার নারিকেল বাগান‘। বাগানটির বেশির ভাগ সমুদ্র গর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে আছে। সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এই নারিকেল বাগানে হোটেল থেকে নেমে হেটে ঘুরে আসা যায়। জেলার আকর্ষনীয় স্পটগুলোয় সরকারি ও বেসরকারিভাবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি পর্যটনশিল্প গড়ে উঠলে বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতি।

অপরুপা জাফলং:

ওপারে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়, এপারে নদী। পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলেছে ঝরনা, আর নদীর বুকে স্তরে স্তরে সাজানো নানা রঙের নুড়ি পাথর। দূর থেকে তাকালে মনে হবে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে নরম তুলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘরাশি।

প্রকৃতির এই অপরৃুপ সৌন্দর্য আর কোথায় পাবেন, জাফলং ছাড়া। এখানেই শেষ নয় সমতল চা-বাগান, খাসিয়া পল্লী, পানের বরজ-কী নেই জাফলংয়ে। সিলেটের জাফলংকে তাই বলা হয়ে থাকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভ’মি।

প্রকৃতিকন্যা নামেও রয়েছে আলাদা পরিচিত। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে ভারতের সীমান্তঘেষা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই জনপদকে। জাফলংয়ের সৌন্দর্য দেখতে তাই প্রৃতি বছরই প্রচুরসংখ্যক পর্যটক ভিড় করেন এখানে। রিতু-বৈচিত্র্যের সঙ্গে জাফলং ও তার রুপ বদলায়। সৌন্দর্য্যে আসে বৈচিত্রতা। বর্ষায় গেলে এখানে দেখা যাবে ওপারের পাহাড় থেকে নেমে আসা অগনিত ঝরনা। সবুজের বুকে নেমে আসা ঝরনাধারায় সূর্য্যরে আলোর ঝিলিক ও পাহাড়ে ভেসে বেড়ানো মেঘমালা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে পর্যটকদের। আবার শীতে অন্য রুপে হাজির হয় জাফলং। চারদিকে তথন সবুজের সমারোহ, পাহাড় চুড়ায় গহিন অরণ্য। ফলে শীত এবং বর্ষা সব সময়ই বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত স্থান হতে পারে জাফলং, জাফলংয়ের বুক চিড়ে বয়ে গেছে দুই নদী। ধলাই ও পিয়াইন। এ নদী দুটি অনন্যতা এনে দিয়েছে জাফলংকে। ধলাই পিয়াইনের স্বচ্ছ জলে দল বেধে ঘুরে বেড়ায় নানা জাতের ছোট মাছ। দুই নদীর পানির নিচ থেকে ডুব দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকের পাথর উত্তোলনের দৃশ্যও মুগ্ধ করে পর্যটকদের। নদীর পানিতে নারী-পুরুষের এই ডুবোখেলা দেখা যায় ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি। সীমান্তের ওপারে ডাউকি নদীর ওপারে দুই পাহাড়ের মাঝখানে ঝুলন্ত সেতু বাড়িয়ে তুলেছে জাফলংয়ের সৌন্দর্য্য। পাহাড়, পানি, পান, পাথর, ঝরনা সব মিলিয়ে জাফলং যেন এক রুপকথার রাজ্য। নাগরিক জঞ্জাল আর কোলাহল ছেড়ে দুদ- শান্তি খুজে নিতে তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে , এমনকি দেশের বাইরে থেকেও দল বেধে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন পর্যটকরা। ভাড়া নৌকায় পিয়াইন ও ধলাইর বুকে ভেসে বেড়ান তারা। পাহাড় আর নদীতে সীমাবদ্ধ নয় জাফলংয়ের সৌন্দর্য্য, জাফলংয়ের সৌন্দর্য্যে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে সেখানকার আদিবাসীদের জীবনধারা। নদী পার হলেই খাসিয়াপুঞ্জি। খাসিয়াদের গ্রামকে বলা হয় পুঞ্জি। এ্ পুঞ্জিগুলোতে গেলে দেখা যাবে ৩-৪ ফুট উচুতে বিশেষভাবে তৈরি খাসিয়াদের ঘর । প্রতিটি বাড়িতে সৃজিত পানবরজ। মাতৃতান্ত্রিক খাসিয়া সম্প্রদায়ের পুরুষেরা গাছ বেয়ে বরজ থেকে পান পাতা সংগ্রহ করেন। আর বাড়ির উঠোনে বসে নারী সদস্যরা পান পাতা ভাজ করে খাচা ভর্তি করেন বিক্রির জন্য। পান পাতা সংগ্রহ ও খাচাভর্তি করার অভিনব দৃশ্য পর্যটকদের নজর কাড়ে। পানবরজ ছাড়াও খাসিয়া পল্লীতে দেখা যাবে কমলাবাগান। কাচা-পাকা কমলায নুয়ে আছে বাগানের গাছ। সংগ্রামপুঞ্জির রাস্তা ধরে আরেকটু এগোলে দেখা যাবে দেশের প্রথম সমতল চা বাগান। যেভাবে যাবেন জাফলং: সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলংয়ের অবস্থান। সিলেটে থেকে বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা বা লেগুনায় যাওয়া যায় জাফলংয়ে। জাফলং যেতে জনপ্রতি বাস-ভাড়া পড়বে ৮০ টাক্ া যাওয়া –আসার জন্য মাইক্রোবাসের ভাড়া পড়বে ৩০০০-৩৫০০ টাকা। সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০০ টাকা। সিলেট শহরের যে কোনো অটোরিকশা বা মাইক্রোবাস ষ্ট্যা- থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে যাওয়া যাবে জাফলংয়ে। থাকা-খাওয়া: জেলা পরিষদের বাংলো ছাড়া জাফলংয়ে থাকার তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে পর্যটককে থাকতে হবে সিলেট শহরে। আর জাফলং যাওয়ার সময় খাবার সঙ্গে করে নিয়ে গেলেই ভালো হয়। কেননা খাসিয়া আদিবাসী গ্রাম সংগ্রামপুঞ্জিতে একমাত্র ক্যাফে সংগ্রাম ছাড়া জাফলংয়ে নেই কোনো ভালোমানের খাবার রেষ্টুরেন্ট। জাফলংয়ের জেলা পরিষদে থাকতে চাইলে সিলেট আসার আগে ফোনে রিসেটটি বুকিং নিতে হবে। তবে সিলেট শহরে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। নগরীর আম্বরখানায় হোটেল ব্রিটানিয়া, রামের দীঘিরপাড়ে নির্ভান ইন, জেলরোডে ডালাস, ধোপা দীঘিরপাড়ে হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল অনুরাগ, মীরাবাজার হোটেল, সুপ্রিম ও খাদিমের নাজিমগড় রিসোর্টসহ বিভিন্ন মানের হোটেলে থাকা যাবে।

নয়নাভিরাম ভোলা:

গাঙ্গেয় অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত দেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলা। এর আয়তন ৩৪০৩.৪৮ বর্গকিলোমিটার। উত্তর-পশ্চিমে বরিশাল, উত্তর-পূর্বে লক্ষীপুর, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পটুয়াখালী জেলা ও তেতুলিয়া নদী।

ভোলা ও তার পার্শ্ববর্তী উপক’লীয় বনাঞ্চল থেকে খাবার ও পানির সন্ধানে এ বছরও বনের হরিণরা লোকালয়ে চলে আসছে। আর সেসব হরিণ স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাতে নির্বিচারে মারা যাচ্ছে। এদিকে ভোলার বিভিন্ন জঙ্গলে অন্তত ২৫ হাজার বিপদাপন্ন হরিণ রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে হরিণসহ বন্যপ্রানী রক্ষায় বনগুলোতে মাটির কেল্লা ও উচু পাড়ের পুকুর কাটানোর দাবী জানিয়েছেন বনকর্মীরা। প্রতি বছরের মতো এবারও ভোলার মনপুরা, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার কুকরী ঢালচর এরাকায় বন বিভাগের সৃজিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল থেকে লোকালয়ে হরিণ আসতে শুরু করেছে। ওই সব হরিণ লোকালয়ে এসে ধরা পড়ছে। মনপুরা রেঞ্জ অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি মনপুরার পচাকোড়ালিয়া ও লালমোহনের মঙ্গলসিকদার এলাকা থেকে দুটি হরিণ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। হবে যেসব হরিণ ধরা পড়ার বিষয়টি গোপন রাখা সম্ভব হয়, সেগুলো নিধন হচ্ছে স্থানীয়দের হাতে। প্রভাবশালীরা রাতের আধারে হরিণ জব্াই করে খাওয়ারও নজির রয়েছে। বনবিভাগ সূত্র জানায়, সমুদ্র ও মেঘনা নদীর মোহনার পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে হরিণের জন্য মিঠাপানির সংকট প্রকট হয়ে ওঠে। বনে খাবার ও পানি সংরক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় ভোলা ও তার পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী ও পটুয়াখালীর আটটি বনের হরিণ লোকালয়ে চলে আসে। বিগত দিনে হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের হরিণ মনপুরার ফকিরহাটে বেশি এসেছে বলে জানায় বনবিভাগ। মাঝেমধ্যে জেলেরাও নদী থেকে হরিণ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। একাধিক বিট অফিসার জানান, লোকালয়ে আসা হরিণগুলোকে স্থানীয়রা নিধনের চেষ্টা করে। জানাজানি হয়ে গেলে ওই সব হরিণ উদ্ধার করে ফের বনে ছেড়ে দেওযা হয়। অথচ এর জন্য তাদের কোনো বরাদ্দ নেই। নিজের পকেটের টাকা ব্যায় করে হরিণ উদ্ধার ও অবমুক্ত করার কাজ করতে হচ্ছে। তিনি বনের ভেতর মিঠাপানির জন্য পুকুর কাটার দাবি জানান।

চর কুকরিমুকরি :

বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলার মুল ভ’খন্ড থেকে দক্ষিনে মেঘনা নদী পার হয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভ’মি চর কুকরী-মুকরীর অবস্থান। দ্বীপের পূর্বদিকে প্রমত্তা মেঘনা ও শাহাবাজ চ্যানেল। দক্ষিনাংশে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বুড়াগৌরাঙ্গ এবং মেঘনার মিলনস্থল।

চর কুকরী-মুকরীকে দ্বীপকন্যাও বলা হয়ে থাকে। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, বন্যপ্রানী আর সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে সৌন্দর্য্যের এক বর্ণিল উপস্থিতি যা প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বছরের পুরনো এ চরে আজও সভ্যতার ছোয়া লাগেনি।

বঙ্গোপসাগরের কুলে মেঘনা-তেতুলিয়ার মোহনায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠা বিশাল বনাঞ্চল বেষ্টিত এ দ্বীপে বিচরণ করে অসংখ্য হরিণ, গরু-মহিষ, বানর, এবং নানা প্রজাতির বন্যপ্রানী। চর কুকরীতে যাওয়ার পথে বিস্তৃত বনায়নে মাঝেমধ্যে চিতাবাঘেরর উপস্থিতি টের পাওয়া যায় এ দ্বীপকন্যার বুকে। এখানে নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ ব্যাবস্থা, হোটেল-মোটেলসহ আধুনিক পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে তা কুয়াকাটার চেয়েও নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের লীলাভ’মিতে পরিণত হতে পারে। এর পাশাপাশি চর পাতিলা ও ঢালচরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা পৃথক দুটি দ্বীপ। এখানেও শীতের সময় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ হরিণ, বালিহাস, মানুষের মন জুড়ানো পরিবেশের সূচনা করে। সম্প্রতি ----চর কুকরী মুকরীকে বিশ্ব জীব বৈচিত্র্যের স্থান হিসেবে চিন্থিত করে। ইতিহাসে প্রায় ৪৫০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেষে প্রমত্তা মেঘনার মোহনায় এ ভ’খ-ের পত্তন ঘটে। কথিত আছে পত্তনের পর প্রথম দিকে এ চরে কুকুর আর ইদুরের প্রভাব ছিল খুব বেশি। ইদুরের আরেক নাম মেকুর, আর তা থেকে এ চরের নামকরণ করা হয চর কুকরী মুকরী । যেভাবে যেতে হবে: ভোলা সদর থেকে গাড়িযোগে ১০০ কিমি, পাড়ি দিয়ে কচ্ছপিয়া পৌছে সেখান থেকে পুনরায় ৩০ কিমি নৌকা ট্রলার বা স্পিডবোটে মেঘনা নদী অতিক্রম করে এ দ্বীপে পৌছাতে হবে।

বাইক্কার বিলে পাখির কলতান:

শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের বাইক্কা বিল জীব বৈচিত্র্যেপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে খ্যাত। এমনকি জীববৈচিত্রপ’র্ণ বাইক্কা বিল ও হাকালুকি হাওর সরকার পাখিদের অভয়াশ্রম ঘোষণা করেছে। বাইক্কা বিলের আয়তন প্রায় ১০০ হেক্টর।

এই বিলটি মৎস্য সম্পদের একটি অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। আইড়, কই, মেনি, ফলি, পাবদাসহ আরও অনেক প্রজাতির মাছ এখানে বংশবৃদ্ধি করে পুরো হাওরে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিল মাছের জন্যই শুধু নয়, পাখি এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্যও একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থল।

এটি একটি নয়নাভিরাম জলাভ’মি যেখানে হাজারো শাপলা আর পদ্মফুল ফোটে। এ ছাড়া এই েিলর বুনো বাসিন্দা আর শীতে আগত পরিযায়ী পাখিদেও ভালোভাবে দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষন টাওয়ার। বিলের কিনারে ফোটে হাজারো ফুল। বৃষ্টিহীন উঞ্চ দিনে বিলের ফুলের পাশে আসে আরও এক দল পতঙ্গপ্রজাতি। শীত মৌসুমে এখানে আসে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। এই বিলের উল্লেখ্যযোগ্য পাখি পানকৌড়ি, কানিবক, ধলাবক, গোবক, ধুপনিবক, রাঙ্গাবক, দলপিপি, নেউপিপি, পান মুরগি, বেগুনি কালেম, কালোমাথা কাস্তেচোরা, শঙ্খচিল ও পালাসী কুড়া ঈগল। শীতের অতিথি হয়ে এই বিলে আসে অনেক জাতের সৈকতপাখি। এই হাওরটি যথাযথভাবে সংরক্ষন করা গেলে প্রতিবছর বহু পর্যটক আকর্ষন করা যাবে।

হাকালুকি হাওর:

হাওর অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলার ৭টি উপজেলার ছোট বড় সাতটি হাওরের অবস্থান থাকলেও স্থান পায়নি দেশের হাওর উন্নয়ন প্রকল্পে। জেলা সদরে অবস্থান রয়েছে সদর উপজেলার উত্তর-পশ্চিম এলাকাজুড়ে বড় হাওরের অবস্থান। রাজনগর উপজেলার উত্তর দিকে রয়েছে হাওর কাউযাদিঘী।

শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমাংশে রয়েছে হাইল হাওর। কমলগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে কেওলা হাওর এবং রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে আরেকটি ছোট হাওর করাইয়া। কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা তিন উপজেলাকে ঘিওে অবস্থান করছে এশিয়া মহাদেশের জীব বৈচিত্রে সমৃদ্ধ বৃহৎ হাওর হাকালুকি।

এ হাওরে শীত মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি ও পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে। হাকালুকি হাওর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এর আয়তন ১৮.১১৫ হেক্টর। হাকালুুকি হাওরের স্থায়ী জলাশয়গুলোতে বিভিন্ন জাতের উদ্ভিদ জন্মে। এক সময়ের অন্যতম আকষর্নীয় ভাসমান বড় বড় গাছপালা এখন আর নেই। চাতলা বিলে ছোট আকারের এ রকম একটি বন রয়েছে। হাকালুকি হাওরের বিশাল প্রান্তরে শুষ্ক মৌসুমে অবাধে বিচরন করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গরু-মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্রাদি। বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদের একটি বড় অংশ রয়েছে হাওরাঞ্চলে। তন্মধ্যে হাকালুকি হাওর এলাকায় অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে। হুমকির মুখে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রতিযোগ্যতা। এ ছাড়া সময় মতো বৃষ্টি হয়না, বা যখন হয়, তখন একসঙ্গে অতিবৃষ্টি হওয়ার ফলে হাওর পানিতে ভরে গেলেও তা স্থায়ী হয় না, ফলে মাছ আসে না। এতে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। অভিজ্ঞদের বক্তব্য থেকে এর বিস্তারিত কারণ জানা যায় তা হলো।, সময় মতো পানি না হলে মাছ ডিম ছাড়তে পারে না। বৃষ্টি হলে পানির তাপ কমে, এ সময় মাছ ডিম ছাড়ে।

                                           

PAGE 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40