ALL OF IT PRODUCT

PRODUCT REVIEW

সর্বশেষ প্রযুক্তির কিবোর্ড, মাউস থেকে শুরু করে হার্ডড্রাইভ, র‌্যাম, প্রসেসর,প্রিন্টার, সুইচ রাউটার মোডেম, স্ক্যানার মাদারবোর্ড, ওয়েবক্যাম, পেনড্র্রাইভ, আইপি ক্যামেরা সহ কম্পিউটারের ও অন্যান্য যাবতীয় হার্ডওয়্যার ও এক্সেসরিজের জন্য ভিজিট করুন প্রোডাক্ট পেজ:

১.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ বিশ্ববিখ্যাত ব্রাণ্ডেড ওয়েবক্যাম মাত্র ১৭০০/=

২.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ ব্রাণ্ডেড ইউপিএস মাত্র ৩২০০/=

৩.লাইফ ওয়ারেন্টি সহ র‌্যাম মাত্র ১৪০০/=

৪.বাসা বা অফিসের ফ্যাক্টরির যে কোন স্পর্ষকাতর স্থানের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারির জন্য আইপি ক্যামেরা মাত্র ১০,০০০।

৫. পকেট ওয়াই-ফাই রাউটার যা দিয়ে ৫০ গজ দূরত্বের মধ্যে খোলা মাঠে ময়দানে বা কোন চত্তরে কমপক্ষে ৫ জন বা ততোধিক ব্যাক্তি তারহীন ইন্টারনেট ব্যাবহারের অবিশ্বাস্য সূলভ মুল্যের ওয়াই-ফাই ডিভাইস।

এ ধরনের আরও অনেক চমকপ্রদ কম্পিউটার,নেটওয়ার্কিং ও আনুসাঙ্গিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত খ্যাতনামা ব্রান্ডেড কোম্পানীর যাবতীয় ডিভাইসের জন্য ভিজিট করুন :প্রোডাক্ট পেজ।

PRODUCT PAGE


ALL OF NEWSPAPER

undefined

E COMMERCE

BANGLA PAPER

ENGLISH PAPER

নয়ন জুড়ানো ভুবন ভূলানো রুপসি বাংলার পর্যটনস্পট নেত্রকোনা, নীলসাগর,নিঝুমদ্বীপ

নেত্রকোণা (দূর্গাপুর) ভ্রমনের দিকনির্দেশিকা

হাতছানি দেয় সোমেশ্বরীর কাকচক্ষু জল, গারো পাহাড়:

গারো পাহাড়ের পাদদেশে কংশ সোমেশ্বরী আর মগড়া পাড়ের সূনেত্র নীলিমায় আকা নেত্রকোণা। জিলাটি ইতিহাসের অনেক ঘটনার নিরব সাক্ষী। টংক প্রথা বিরোধী আন্দোলন থেকে শুর করে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিধন্য। এখানে শায়িত আছেন ইসলাম প্রচারের অন্যতম পুরোধা ব্যাক্তিত্ব হযরত শাহ সুলতান কমরুদ্দিন রুমীর (র:) মাজার এখানে রয়েছে হাওর বাওড়। রয়েছে গারো পাহাড়ের পাদদেশে আদিবাসী অধ্যুষিত দূর্গাপুর আর কলমাকান্দা উপজেলা ও জেলার অন্যতম ব্যাক্তিত্ব হচ্ছেন কমরেড মনি সিংহ, সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদ, বরেণ্য সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল, কবি নির্মলেন্দু গুণ, কবি হেলাল হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুজিবুর রহমান খা, প্রখ্যাত সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী এবং রবীন্দ্র বিশ্বভারতীর অধ্যক্ষ শৈলজানন্দ মজুমদার। পর্যটন জেলা হিসেবে এই জেলা এখনো সেভাবে গড়ে না উঠলেও দেখা বা বেড়ানোর মত রয়েছে অনেক স্থান।

যা দেখবেন: দুর্গাপুরে প্রবেশ পথেই পাবেন বিরিশিরির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কালচারাল একাডেমী। সেখানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা বিশেষ করে গারো এবং হাজংরা তাদের ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার জন্য তাদের সংস্কৃতি চর্চা করে থাকে। সেখানে তারা প্রতিদিন তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচলনা করে থাকে। প্রতিবছর সেখানে অনুষ্টিত হয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বার্ষিক অনুষ্ঠান। দুর্গাপুরে গেলেই দেখতে পাবেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর তরুনীরা কাজ করছে মাঠে। যাচ্ছে স্কুল কলেজে। তারাও আর এখন পিছিয়ে নেই। তাদের সাথে একাডেমিতে বসে তাদের সংস্কৃতি নিয়ে আপনি কথা বলতে পারবেন।

জানতে পারবেন তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য। দূর্গাপুরে রয়েছে রাণিকংয়ে খৃষ্টানদের শতাব্দী প্রাচীন উপসনালয়। রয়েছে বিজয়পুরের সাদামাটি। ভারত সীমান্তের কাছাকাছি মনোরম পাহাড়ী দৃশ্যপট। স্রোতস্বিনী সোমেশ্বরী নদী। রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব কমরেড মনিসিংহের রাজবাড়ি, যেটি এখন মহিলা কলেজ।

দেখতে পাবেন টংক আন্দোলনর সুতিকাগার রাশিমনির স্মৃতি¯তম্ভ। কেন্দুয়ার সাজিউড়ায় রয়েছে অবিভক্ত ভারতের অর্থমন্ত্রুী নলিনী রঞ্জন সরকারের বাসভবন। কেন্দুয়া রোয়াইলবাড়িতে রয়েছে মোগল আমলের নির্মিত মসজিদ আর পরিখা। খালিয়াজুরি আর মদনের রয়েছে বিশাল বিশাল হাওর। ট্রলার ভাড়া করে সেখানে বেড়ানো যায়। তবে বর্ষার সময় ট্রলারে ভ্রমন করা যায় না। কারণ হাওরের উত্তাল ঢেউ দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

যেভাবে যাবেন: দুর্গাপুর আর কলমাকান্দায় যাবার বিশেষ সুবিধা হলো ঢাকার মহাখালি থেকে সরাসরি বাসে যাতায়াত। সকাল ৭টা থেকে বাস ছাড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে বাস। দূর্গাপুর যেতে সময় লাগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। মহাখালি থেকে শাহ সুলতান বাস সার্ভিস, নেত্র পরিবহন ছাড়াও কয়েকটি বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া বিআরটিসি বাস ছাড়ে গুলিস্থান থেকে। বাস ভাড়া ২৫০ টাকা। তবে যাতায়াতের জন্য কোন এসি বাস নেই। মাইক্রোবাসেও পরিবার নিয়ে যাওয়া যায়। ভাড়া ৫ হাজার টাকা। ঢাকা থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গেও যাওয়া যায়। মহাখালি থেকে মযমনসিংহ, পরে ময়মনসিংহ থেকে ব্রক্ষপুত্র সেতুর পারে দুর্গাপুরের বাস । আবার ঢাকা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায়। প্রথমে ময়মনসিংহ পরে ময়মনসিংহ থেকে জারিয়া-কাঞ্জাইল রেল ষ্টেশন। সেখান থেকে বাসে বা টেম্পোতে দূর্গাপুর। দুর্গাপুরে রিকশায়ও চলাচল করতে পারবেন। কেন্দুয়া ও ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে/মাইক্রোবাসে যাওয়া আসা করা যায়। বিরিশিরি হতে রানীখং ভাড়া করা মোটর সাইকেলে অথবা নৌকাযোগে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে মদনের মাহখালি থেকে এবং কমলাপুর থেকে বাসে যাতায়াত করা যায়। বাস ভাড়া ২৫০ টাকা।

কোথায় থাকবেন বিরিশিরি উথরাইলে রয়েছে উন্নতমানের দুটি রেষ্ট হাউজ্ এদুটো পরিচালনা করে খৃষ্টান মিশনারীরা। একটি ওয়াইএমসিএ এবং অপরটি ওয়াই ডাব্লিও সিএ ওয়াইএমসিএর ভাড়া ৪ শত টাকা এবং ওয়াইডাব্লিও সিএর ভাড়া (এসি) ৭০০ টাকা। ওয়াইইমসিএর মোবাইল: ০১৭৪৩৩০৬২৩০ এবং ওয়াইডাব্লিও সিএর মোবাইল নং: ০১৭২১৩৯৪৩২০। বিরিশিরি কালচারাল একাডেমিতেও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। একাডেমির মোবাইল নাম্বার: ০১৭৪৩০৭৫৬৪৭। নেত্রকোণা শহরে মগড়া সেতুর কাছে সৌরভ হোটেলে থাকার ব্যবস্থা আছে। এছাড়া রয়েছে ষ্টেশন রোডে চন্দন গেষ্ট হাউজ। হোটেল গোল্ডেন ষ্টার। এছাড়া শহরে রয়েছে বেশ কয়েকটি মাঝারি ধরনের হোটেল।

সেখান থেকেও মোটর সাইকেলে বা মাইক্র্বোাসে দুর্গাপুর কলমাকান্দা এবং কেন্দুয়ায় যাতায়াত করা যায়। মাইক্রোবাস তো আছেই। যা কিনতে পারেন: নেত্রকোণার বিখ্যাত গয়ানাথের বালিশ মিষ্টি। ছোট আকার থেকে বিশাল ঢাউস সাইজের এই বালিশ মিষ্টি আপনি নিয়ে যেতে পারবেন। তবে এটি কেজিতে নয়, পিস হিসাবে বিক্রি হয়। ১০ টাকা থেকে ২শত টাকা পর্যন্ত এক পিস মিষ্টির দাম। মিষ্টির সাথে দেয়া হবে ক্ষীরনেত্রকেকোণা শহরের বারহাট্টা রোডে মিষ্টির দোকান। এছাড়া রয়েছে নেত্রকেকোণার বারহাট্টার ছানার রসগোল্লা এর এক পিস ২০ টাকা। দূর্গাপুর থেকে নিতে পারবেন আপনার প্রিয়জনদের জন্য দকবান্দা, দকশাড়ি বা আদিবাসীদের পোষাক। একপিস দকবান্দা ড্রেসের দাম ৫ শত টাকা থেকে ১২৫০ টাকা।

নিঝুম দ্বীপ ভ্রমন নির্দেশিকা

নিঝুম দ্বীপ: নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি:

জীব বৈচিত্র্যের অপরূপ সমারোহ, রয়েছে নিঝুম দ্বীপে। পাখির কুজনে কিংবা সমুদ্র সৈকতে দাড়িয়ে অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভায় মনকে রাঙিয়ে নিতে নিসর্গের অনবদ্য সৃষ্টি নিঝুমদ্বীপ পর্যটনপ্রেমী মানুষের কাছে এক অনন্য স্থান। নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার একটি উপদ্বীপ হচ্ছে নিঝুমদ্বীপ। প্রায় ৬৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপটি হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ১০ কি.মি দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের উপক’লে অবস্থিত। পাখি ডাকা, ছায়া ঢাকা নিঝুমদ্বীপকে একটি ইউনিয়নে উন্নীত করা হয়েছে। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণাংশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে রয়েছে বিশাল সমুদ্র সৈকত। বৃত্তাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার বিস্তৃত এ সৈকত। সৈকতের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য, নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সমুদ্রের উত্তাল গর্জন, বাতাসে মধুর গুঞ্জরন সবকিছু বিবেচনায় এ সৈকতকে কক্সবাজারের চেয়ে বেশি নিবিড় ও প্রাকৃতিক মনে হয়। ভাটার সময় জেগে ওঠে দীর্ঘ বেলাভূমি। সে বেলাভূমিতে সাগরের উর্মিমালা আছড়ে পড়ার দৃশ্য কাউকে আলোড়িত না করে পারে না। চন্দ্রালোকে জোয়ার ভাটার এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য এক স্বর্গীয় অনুভূতির সৃষ্টি করে। এই সৈকতে সূর্যাস্তের দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। নিঝুমদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ এর বিশাল শান্ত স্নিগ্ধ গভীর ঘন বন। দ্বীপের প্রায় তিন চতুর্থাংশেই বন বিভাগ সৃজিত। অন্য প্রজাতির সাথে এ বনে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে কেওড়া, বাইন ও গেওয়া গাছ। গহীন অরন্যে রয়েছে ৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ। বনজ সম্পদের মধ্যে ২১ প্রজাতির বৃক্ষ ও ৪৩ প্রজাতির গুল্ম নিঝুমদ্বীপের সবুজ আচ্ছাদনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় ২০০১ সালে নিঝুম দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা ও এর জীব বৈচিত্র সংরক্ষনের মধ্যে দ্বীপটির প্রায় ৪০ হাজার একর এলাকাকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষনা করেছে। দ্বীপের বিশাল বনের ভেতর একে বেকে বয়ে গেছে অনেক খাল।

দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ হরিণ। দ্বীপে রয়েছে অজস্র হরিণ। খালের মধ্যদিয়ে দ্বীপে প্রবেশের সময় দুধারে গভীর বনে তাকালে চোখে পড়ে হরিনের পাল। বিশেষ বিশেষ সময়ে হরিণ পাল নদীতে পানি খেতে আসে। দ্বীপের সৈকত ও এর আশেপাশের অরন্য পাখির নিরাপদ আবাসস্থল হিসাবে গন্য করা হয়। অতিথি পাখির জন্য এ দ্বীপ এক বিরাট আকর্ষণ। শীতকালে এসব পাখি ঝাকে ঝাকে উড়ে আসে এ দ্বীপে। অতিথি পাখির মধ্যে হাস, গিরিয়া হাস, লেনজা, ভুতি হাস, রাখাল ভুলানী, ক্যাষ্ট্রেল, জিরিয়া, গুলিখা, স্নাইপ, জল কবুতর সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। সৈকতে অনুকুল পরিবেশে অতিথি পাখি নিরাপদে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে। পাখি, পেচা, মাছরাঙ্গা, পানকৌড়ি, শালিক, দোয়েল, চড়ুই, বাবুই, চুনটুনিসহ নানা প্রজাতির পাখিতো আছেই। বিশেষ করে শীতে পাখির ডাকে পুরো দ্বীপ মুখরিত হয়ে উঠে। দূর থেকে তাকালেও চোখে পড়ে পাখিরা দল বেধে মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে।

কোথায় থাকবেন: জেলা পরিষদ, রেডক্রিসেন্ট ও বন বিভাগের তিনটি ডাক বাংলো রয়েছে নিঝুমদ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য। কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে ডাক বাংলোতে যে কেউ থাকতে পারে। এ ছাড়া পুরো দ্বীপে দুটো নিম্নমানের কম খরচের আবাসিক হোটেল রয়েছে। অবকাশ পর্যটন লিমিটেড নামের ট্যুর প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে আছে একটি গেষ্ট হাউস। বন্দরটিলায় রয়েছে বর্তমান নির্বাচিত ইউপি চেয়্যারম্যানের বাণিজ্যিক একটি রেষ্ট হাউজ। খাওয়ার জন্য দ্বীপে রয়েছে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি হোটেল-রেস্তোরা।

কিভাবে যাবেন ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে সরাসাির হাতিয়া তমরুদ্দি ঘাটে যাওয়া যায়। তারপর ট্রলারযোগে নিঝুমদ্বীপ । আবার ঢাকার সায়দাবাদ বাস ট্রামিনাল থেকে বাসে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী নেমে সেখান থেকে সিএনজি যোগে চেয়্যারম্যান ঘাট হয়ে সী-ট্রাকে যাওয়া যায় হাতিয়ার নলচিরা/তমরুদ্দি ঘাট। সেখান থেকে ট্রলারে নিঝুম্দ্বীপ । চট্টগ্রাম হাতিয়া পর্যন্ত সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে লঞ্চ সার্ভিস আছে। নিঝুমদ্বীপে উপক’লীয় পর্যটন ও বিনোদন কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়েছে।

নীলসাগর: দেখে আসুন ছায়াঘেরা দীঘিতে অতিথি পাখির জলকেলি:

নামে সাগর হলেও নীলসাগর আসলে এক বিশাল দীঘির নাম। চারিদিক নানা প্রজাতির পাছগাছালি ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমণ্ডিত বিশাল এই দীঘিটি নীলফামারী জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। একনজওে নীলসাগর: নীলফামারী জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাঙ্গা মৌজায় ৫৩.৯০ একর জমির ওপর নীলসাগরের অবস্থান। এর জলভাগ ৩২.৭০ একর এবং চারদিকের পাড়ের জমির পরিমান ২১ একরের মতো। নীলফামারী জেলা শহরের জিরো পয়েন্ট চৌরঙ্গী মোড় থেকে ১৪ কিলোমিটার দূওে এর অবস্থান। নামকরণ: কথিত আছে, অষ্টদশ শতাব্দীতে রাজার অগনিত গরু-মহিষের পানির চাহিদা মেটাতে প্রায় ৫৪ একর জমিতে খনন করা হয় দীঘিটি। মেয়ে বিল্লাবতীর নামানুসাওে এর নাম দেওয়া হয় বিল্লাদীঘি। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের উদ্যোগে এবং স্থানীয় ব্যাক্তিদেও মতামত অনুযায়ী বিল্লাদীঘির নাম পরিবর্তন কওে নীলসাগর নামকরন করা হয়।

নীলসাগরের আকর্ষণ: নীলসাগরের বিশাল দীঘির চারদিকে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছ-গাছালির সমাহার। পানি আর সবুজ মিলে সৃষ্টি হয় এক অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্যের। ছায়াঘেরা দীঘির চারপ্রান্তে রয়েছে সিড়ি। দীঘির পাড়ে পাকা রাস্তায় কিছুদুর পর পর দর্শনার্থীদেও জন্য রয়েছে সৃদৃশ্য বিশ্রামাগার, ছাতাসহ বসার স্থান। এখানে শিশুদেও জন্য দোলনা, নাগরদোলারও ব্যবস্থা রয়েছে। শীতকাওে সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে আসা অতিথি পাখিদেও কলকালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এটিই মূলত নীলসাগরের প্রধান আকর্ষণ। মাঝপুকুওে বসে ভিনদেশী হাজার পাখির মেলা। দীঘিতে ফোটা শাপলার ফাকে ফাকে পাখির জলকেলি প্রকৃতিতে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা। প্রকৃতির সেই অপূর্ব সৌন্দর্য্য দেখতে শীতকালে এখানে ছুটে আসেন নানা বয়সী মানুষ। কল্পকাহিনী ঘেরা নীলসাগর প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বসে মেলা।

প্রকৃতির নিবিড় ছোয়া পেতে নীলফামারীর মানুষ ছাড়াও ঠাকুরগাও, পঞ্চগড়, রংপুর ও দিনাজপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও বিপুল সংখ্যক মানুষ অবসওে এখানে ছুটে আসেন। জনশ্র“তি: জনশ্র“তি রয়েছে, ১৯৯৩ সালে সংস্কারের সময় দীঘির তলদেশে পাওয়া গিয়েছিল স্বর্ণ, রৌপ্য এবং কষ্টি পাথরের মূল্যবান মূর্তি। তবে মজার ব্যাপার হলো, মাটির তলদেশে মন্দিরের অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেখানে বাস করতো বিশাল আকৃতির দুটি মাছ। কথিত আছে, এক সময় নাকি নীলসাগরের পানি শুকানোর জন্য অনেকগুলো মেশিন বসানো হয়েছিল। কিন্তু পানির উচ্চতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। লোকমুখে শোনা যায়, অতীতে গ্রামের লোকজন বিল্লাদীঘির পানিতে গাভীর প্রথম দুধ উৎসর্গ করতো। তাদেও বিশ্বাস ছিল, এতে গাভীর দুধ বেশি হবে এবং অনিষ্টকারীর দৃষ্টি থেকে গাভীটি রক্ষা পাবে।

ফি: নীলসাগওে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫ টাকা। এখানে বাইসাইকেল পার্কিংয়ের ফি ৫ টাকা, মোটর সাইকেল ২০ টাকা, মাইক্রোবাস ৩০ টাকা এবং বাস পার্কিংয়ের ফি ১শ’ টাকা। যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া: ঢাকা ছাড়াও দূরবর্তী স্থান থেকে নাবিল, হানিফ, শ্যামলী, আগমনী, এসআর পরিবহনের বাসে বা রেলওয়ের নীলসাগর আন্ত: নগর ট্রেনে কওে নীলফামারী শহওে আসার পর স্থানীয় পরিবহনে নীলসাগর যাওয়া যায়। নীলফামারী শহর থেকে দেবীগঞ্জগামী বাস ছাড়ও রিকশাভ্যান, মাইক্রোবাস এবং মোটর সাইকেলে করে অনায়াসে যাওয়া যায় নীলসাগরে। ঢাকা থেকে নীলফামারী যাওয়ার ভাড়া: ট্রেন এসি ৪৪০ টাকা, নন-এসি ২২০ টাকা, এবং বাস এসি ৭৫০ টাকা, নন-এসি ৬০০ টাকা। এখানে রাত যাপনের জন্য রেষ্টহাউস রয়েছে। জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ভাড়া নেওয়া যায় নীলসাগরের রেষ্টহাউস। ২ কক্ষ বিশিষ্ট রেষ্টহাউসে ২৪ ঘন্টার জন্য সিঙ্গেল বেডরুমের ভাড়া ২০০ টাকা এবং ডাবল বেডরুমের ভাড়া ৪০০ টাকা। আর থাকা-খাওয়ার জন্য এখানে আলাদা কোন রেষ্টুরেন্ট নেই। তবে রেষ্টহাউস কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়া জেলা সদওে হোটেল অবকাশ-০১৭৩৩৫১৮৭৫২, হোটেল আর, রহমান-০১৫৫৬৫০১৬৬৭, হোটেল শিশির-০১৭১২৫৬৫১১৬৬, নাভানা রেষ্ট হাউস-০১৭১১১৭৮৮২৩, বুকিং দিয়ে এসি বা নন এসি ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকায় ভাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া আকাশপথে ঢাকা থেকে সৈয়দপুওে ৫ হাজার ৫শ টাকায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজে আসতে পারেন। এখানে হোটেল আরাফাত (০৫৫২৬-৭২৬২২), হোটেল সৌদিয়া (০৫৫২৬-৭৩১৪৯) হোটেল প্রিন্স (০৫৫২৬-৭২২৬২), হোটেল আল রাজ (০৫৫২৬-৭৩১৩৭) , হোটেল সম্রাট (০৫৫২৬-৭২১৩০) ও হোটেল টাইম ষ্টার (০৫৫২৬-৭২৫৯৩) বেশ কয়েকটি ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। এর বাইরেও থাকা-খাওয়ার জন্য নীলফামারী সার্কিট হাউস, সৈয়দপুর রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব, ডাকবাংলো, পানি উন্নয়ন বোর্ডেও রেষ্ট হাউস রয়েছে। যেগুলোতে থাকতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেও পূর্বানুমসতি নিতে হবে। আর দেরি নয়: নানা সমস্যার পরও নীলসাগর জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। দর্শনার্থী বাড়লে এবং সরকার একটুখানি আন্তুরিক হলে এখানকার সমস্যাগুলোর সমাধান হবে অনেকাংশে। তাই আর দেরী না কওে ঘুরে আসুন নীলসার্গ, সবুজ পাছগাছালির ছায়াঘেরা দীঘিতে অতিথি পাখিদেও জলকেলি দেখার এখনই উপয্ক্তু সময়। <

                                           

PAGE 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40