ALL OF IT PRODUCT

PRODUCT REVIEW

সর্বশেষ প্রযুক্তির কিবোর্ড, মাউস থেকে শুরু করে হার্ডড্রাইভ, র‌্যাম, প্রসেসর,প্রিন্টার, সুইচ রাউটার মোডেম, স্ক্যানার মাদারবোর্ড, ওয়েবক্যাম, পেনড্র্রাইভ, আইপি ক্যামেরা সহ কম্পিউটারের ও অন্যান্য যাবতীয় হার্ডওয়্যার ও এক্সেসরিজের জন্য ভিজিট করুন প্রোডাক্ট পেজ:

১.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ বিশ্ববিখ্যাত ব্রাণ্ডেড ওয়েবক্যাম মাত্র ১৭০০/=

২.দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ ব্রাণ্ডেড ইউপিএস মাত্র ৩২০০/=

৩.লাইফ ওয়ারেন্টি সহ র‌্যাম মাত্র ১৪০০/=

৪.বাসা বা অফিসের ফ্যাক্টরির যে কোন স্পর্ষকাতর স্থানের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে সার্বক্ষনিক নজরদারির জন্য আইপি ক্যামেরা মাত্র ১০,০০০।

৫. পকেট ওয়াই-ফাই রাউটার যা দিয়ে ৫০ গজ দূরত্বের মধ্যে খোলা মাঠে ময়দানে বা কোন চত্তরে কমপক্ষে ৫ জন বা ততোধিক ব্যাক্তি তারহীন ইন্টারনেট ব্যাবহারের অবিশ্বাস্য সূলভ মুল্যের ওয়াই-ফাই ডিভাইস।

এ ধরনের আরও অনেক চমকপ্রদ কম্পিউটার,নেটওয়ার্কিং ও আনুসাঙ্গিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত খ্যাতনামা ব্রান্ডেড কোম্পানীর যাবতীয় ডিভাইসের জন্য ভিজিট করুন :প্রোডাক্ট পেজ।

PRODUCT PAGE


ALL OF NEWSPAPER

undefined

E COMMERCE

BANGLA PAPER

ENGLISH PAPER

নয়ন জুড়ানো ভুবন ভূলানো রুপসি বাংলার পর্যটনস্পট বরিশাল, হবিগঞ্জ, নওগা

হবিগঞ্জ হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট:

হবিগঞ্জ জেলায় রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ জেলাকে সারাদেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে। প্রকৃতির রম্য নিকেতন বৃহত্তর সিলেটের প্রবেশদ্বার হবিগঞ্জ। পাহাড়, হাওর, নদী , চা ও রাবার বাগান, বনজসম্পদ, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন, গ্যাসসহ অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ, খাসিয়া, টিপরা উপজাতি এবং মনিপুরী সম্প্রদায়ের বসবাসে সমৃদ্ধ হবিগঞ্জ। ২৪৩৯.৪৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাব্যাপী হবিগঞ্জের উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট, পূর্বে মৌলভীবাজার, দক্ষিনে ব্রাক্ষনবাড়িয়া ও ভারতের পার্বত্য ত্রিপুরা, পশ্চিমে ব্রাক্ষনবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ জেলা। হবিগঞ্জে মোট জনসংখ্যা ১৮ লক্ষাধিক। ১৮৭৮ সালে মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হলেও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার না হওয়ায় হবিগঞ্জের প্রতাশিত উন্নয়ন হয়নি। হবিগঞ্জে মোট জনসংখ্যা ১৮ লক্ষাধিক।

১৮৭৮ সালে মহকুমা এবং ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হলেও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার না হওয়ায় হবিগঞ্জের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে ৩/৪ঘন্টার দূরত্বে হবিগঞ্জের অবস্থান। ভৌগোলিকভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ হবিগঞ্জের ৮টি উপজেলার মধ্যে ৪টি উপজেলাই ভাটি অঞ্চলে। বর্ষাকালে ভাটি অঞ্চলের অধিকাংশই ডুবে যায় অথৈ পানিতে। দূর থেকে তখন ছোট গ্রামগুলোকে দেখে মনে হবে যেন পানিতে ভাসছে। এ সময় গ্রামগুলোর মধ্যে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ইঞ্জিন নৌকা। বর্ষাকালে হাওর অঞ্চলে নৌকা বাইচ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ্য। উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাম বানিয়াচঙ্গে রয়েছে সাগরদীঘি, যা রাণী কমলাবতীর দীঘি হিসাবে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে বহি:শত্র“ুর আক্রমণ থেকে গ্রাম রক্ষার জন্য প্রাচীনকালে খনন করা গড়ের খাল, রাজবাড়ির ধবংশাবশেষ, সুলতানি আমলে তৈরি বিবির মোকাম ও পুরানবাগ আখড়া। প্রাচীনকালে এ আখড়ায় ১২০ জন বৈষ্ণব বসবাস করতেন বলে কথিত আছে।

নাগুরায় রয়েছে দেশের সবচেয়ে পুরাতন ধান গবেষণা কেন্দ্র। নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ড। এ উপজেলারই দিনারপুর এলাকায় কুরুটিলাও দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি। চুনারুঘাট, মাধবপুর, বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ২৪টি চা বাগান। শাহজীবাজার ও বাহুবলের রূপাইছড়ায় রয়েছে ২টি বড় রাবার বাগান। শাহজীবাজার ও রশিদপুরের ২টি সহ জেলায় বড় গ্যাসফিল্ড রয়েছে ৩টি। এছাড়াও শাহজীবাজার এলাকায় রয়েছে একটি সরকারি ও ২টি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও একটি ফ্রুটস ভ্যালি। মাধবপুরের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বুলেট আকৃতির স্মৃতিসৌধ। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইলে রয়েছে শঙ্করপাশা শাহী মসজিদ এছাড়াও মাছুলিয়ায় রয়েছে একটি প্রাচীন আখড়া। চুনারুঘাটের বিভিন্ন গ্রামে বাস করে মনিপুরী সম্প্রদায়ের একটি বড় জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় জীবনধারা ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সহজেই সকলের মনযোগ কাড়ে। সাতছড়ি পাহাড়ে জাতীয় উদ্যানে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান বৃক্ষ, উদ্ভিদ ও জীবজন্তু।্ চুনারুঘাটের রেমায় রয়েছে বন্যপ্রাণী ও জীবজন্তু সংরক্ষন প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত অভয়ারণ্য। হবিগঞ্জকে প্রকৃতি সাজিয়েছে অকৃপণভাবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ’মি হবিগঞ্জে পর্যটন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে অচিরেই হবিগঞ্জ দেশের মধ্যে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

বাকলা চন্দ্রদ্বীপ থেকে বরিশাল:

দুই শতাধিক বছরের পথপরিক্রমা: ধান-নদী-খাল এই তিনে বরিশাল। গাঙ্গেয় অববাহিকায় এই জেলার বয়স দুশ বছর পেরিয়ে গেছে। প্রাচীন নাম বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ। দেশের দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেষে গঙ্গা, মেঘনা ও ব্রক্ষ্রপুত্র পলি জমে সৃষ্ট কয়েকটি দ্বীপের একটি হল বরিশাল। ১৭৯৬ সাল পর্যন্ত বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ নামেই পরিচিত ছিলো বরিশাল। প্রাচীনকাল থেকেই নদী ভাঙ্গন, ঝড়-জলোচ্ছাস মোকাবেলা করে বেচে থাকা এ অঞ্চলের মানুষের পেশা কৃষি ও মৎস্য শিকার। গঙ্গার মোহনায় অবস্থিত চন্দ্রদ্বীপে লোকবসতি কবে শুরু হয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের জন্ম ৪ হাজার বছর পূর্বে বলে প্রাচীন পুথি থেকে ধারণা পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে এই দ্বীপে ছিল অসংখ্য নদী-নালা। এখনো মেঘনা, তেতুলিয়া, আড়িয়াল খা, সুগন্ধা , সন্ধ্যা, কালাবদর, ঝুনাহার নদ-নদীতে ঘিরে আছে এই জেলা। প্রমত্তা নদীগুলো বার বার এ অঞ্চলের ভৌগোলিক মানচিত্রের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এডুমিশ্রের কারিকায় বলা হয়েছে, চন্দ্রকলার মতো এ দ্বীপের হ্রাস-বৃদ্ধি হয়েছে বলেই নামকরণ করা হয়েছে চন্দ্রদ্বীপ। তখনো পূর্বে ইছামতি ও পশ্চিমে মধুমতি নদী দ্বারা বেষ্টিত ছিলো বরিশাল। দ ুশ পনেরো বছর পেরিয়ে: ১৭৯৭ সালে বাকেরগঞ্জে প্রথম জেলা স্থাপিত হয়। ১৮০১ সালে বাকেরগঞ্জ থেকে জেলার সদর দপ্তর আানা হয় বরিশালে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ও ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছিলো খুলনা বিভাগের অন্তর্গত। এককালের বরিশাল জেলা শহর রূপ নিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় শহরে। কবি কাজী নজরুল ইসলাম বরিশালের রুপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে নাম দিয়েছিলেন প্রাচ্যের ভেনিস।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে এ শহরের আত্মীয়তার ও ব্যাবসায়িক সম্পর্ক ছিল। প্রাচ্যের ভেনিস থেকে রতœগর্ভা: এখানে জন্ম নিয়েছেন মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত, বাংলার বাঘ খ্যাত শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, সাংবাদিকতার পথিকৃৎ নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, কবি সুফিয়া কামাল, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী দেবেন্দ্রনাথ ঘোষ, কমরেড নলিনী দাস, মনোরমা মাসিমা অমৃতলাল দে সহ অনেক ক্ষনজন্মা পুরুষ। একুশে ফেব্র“য়ারী ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বরিশালের রয়েছে গর্বিত ইতিহাস। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের নিয়ে রচিত আমার ভাইয়ের একুশে ফেব্র“য়ারী গানের রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী, গানটির সুরকার ও শিল্পী আলতাফ মাহমুদ জন্ম নিয়েছেন এ জেলায়। আলতাফ মাহমুদের নামে নগরীতে রয়েছে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়। এছাড়াও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রণণকারী বীরশ্রেষ্ট ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল, বীরোত্তম আব্দুস সত্তার ও মেজর জলিলকে নিয়ে এখানকার মানুষ এখনো গর্ববোধ করে। রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের শৈশব -কৈশোর ও শিক্ষকতা জীবন কেটেছে এই শহরে। একইভাবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অপর নেতা চারণ কবি মুকুন্দ দাশের শৈশব -কৈশোর কেটেছে এই শহরে।

ঐতিহাসিক দুর্গা সাগর: ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে চন্দ্রদ্বীপ পরগনার তৎকালীন রাজা শিবনারায়ন এলাকাবাসীর পানির সংকট নিরসনে মাধবপাশায় একটি বৃহৎ দীঘি খনন করেন। তার মা দুর্গা দেবীর নামে দীঘিটির নামকরণ হয় দুর্গাসাগর। প্রতœতত্ত্ব সংরক্ষন অধিদপ্তরের পরিবর্তে দুর্গাসাগর রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করছে জেলা প্রশাসন। দুর্গাসাগরের তিনদিকে ৩টি ঘাটলা ও দীঘির ঠিক মাঝখানে ৬০ শতাংশ ভূমির উপর টিলা রয়েছে। দুর্গাসাগরের অদূরেই রয়েছে অত্যাধুনিক বায়তুল আমান জামে মসজিত কমপ্লেক্স ও শেরেবাংলা একে ফজলুল হক জাদুঘর। এ জাদুঘরটি বানারীপাড়ার চাখারে শেরেবাংলার জন্ম ভিটায় অবস্থিত। দুর্গাসাগরে এক সময়ে ঝাকে ঝাকে অতিথি পাখির সমাগম হতো। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও সর্বশেস ২০০৭ সালের ১৫ ই নভেম্বর সুপার সাইক্লোন ’সিডরের পর দুর্গাসাগরে আর অতিথি পাখির দেখা মিলছে না। আড়াইশ বছর আগে খনন করা ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর ও তার অদুরেই লাকুটিয়া জমিদার বাড়িটিও দর্শনীয় স্থান হিসাবে পরিচিত। লাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি তিনশ, বছরের পুরোনো। চারণ কবি মুকুন্দ দাশের কালীবাড়ী:

এই শীতে ঘুরে আসুন ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ জেলা নওগাঁ থেকে।

নওগার রূপ মাধুর্য্য

কিভাবে যাবেন: এখানে এলে দেখতে পাবেন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত পতিসর কুঠিবাড়ী, ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ, ঐতিহাসিক দিবর দীঘিসহ নানা কিছু। ইতিহাসের নানা ঐশ্বর্য আবিষ্কারের পাশাপাশি এসব স্থানের মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য আপনাকে করবে মুগ্ধ। যেভাবে যেতে হবে: রাজধানী ঢাকা থেকে বাসে ও ট্রেনে উভয় পথেই নওগাঁ যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে নওগাঁর বাস ছাড়ে। হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এস,আর ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, শ্যামলী পরিবহন, একতা পরিবহন, কেয়া পরিবহনসহ বিভিন্ন কোম্পানির বাসে নওগাঁ যাওয়া যায়। এসব বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৪শ টাকা। এছাড়া কমলাপুর স্টেশন থেকে সকাল ও রাতে দুইটি করে ট্রেন ছাড়ে। কমলাপুর থেকে ট্রেনে এসে সান্তাহার নামতে হবে। সান্তাহার থেকে রিকশা ও অটোরিকশায় নওগাঁ শহরে যাওয়া যায়। কমলাপুর স্টেশন থেকে আন্তঃনগর এক্সপ্রেসে জনপ্রতি ভাড়া ২৭৫ টাকা। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার: নওগাঁ থেকে ৩২ কিলো মিটার উত্তরে বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। ইতিহাসবিদদের মতে, পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল অষ্টম শতকের শেষের দিকে এ বিহার নির্মাণ করেছিলেন। বিহারের আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৯শ ২২ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ৯শ ১৯ ফুট। সমগ্র পৃথিবীতে এ পর্যন্ত জ্যামিতিক নকশার যতগুলো পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া গেছে বিশেষজ্ঞদের মতে পাহাড়পুর তার মধ্যে অন্যতম সেরা। কারো কারো মতে এখানে একটি জৈন মন্দির ছিল। আর সেই মন্দিরের উপরেই গড়ে তোলা হয়েছে এ বিহার। এ বিহারে মোট ১৭৭টি ঘর রয়েছে। ঘরগুলোতে বৌদ্ধভিক্ষুরা বাস করতেন। বিহারের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি মন্দির। মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে ৪শ ফুট, প্রস্থে প্রায় ৩শ ৫০ ফুট ও উচ্চতায় ৭০ ফুট। কালের বিবর্তনে মন্দিরের সবচেয়ে উপরের অংশ ধসে গেছে। বাইরের দেয়ালে বুদ্ধমূর্তি, হিন্দুদের দেবী মূর্তি ও প্রচুর পোড়ামাটির ফলকচিত্র রয়েছে। এসব চিত্রে সাধারণ মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনগাথা চিত্রিত হয়েছে। বিহারের মূল বেষ্টনীর দেয়াল প্রায় ২০ ফুট চওড়া। বেষ্টনীর মধ্যে রয়েছে আরেকটি মন্দির। এটি মূল মন্দিরের ধ্বংস স্তূপ বলে ধারণা করা হয়। এ ছাড়াও এ বিহারের চারিপাশে আরো অনেক স্থাপত্যের নিদর্শন পরিলক্ষিত হয়। বিহারের কাছেই রয়েছে ইট ও পাথর দিয়ে বাঁধানো একটি ঘাট। এ ঘাটের পাশ দিয়ে এক সময় একটি নদী ছিল। এ ঘাট নিয়ে এলাকায় অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। এ ঘাটে মইদল রাজার কন্যা সন্ধ্যাবতী স্নান করতো বলে এ ঘাটের নাম ছিল সন্ধ্যাবতীর ঘাট। নরওয়ে সরকারের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১৯৯৩ সালে এখানে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। এ জাদুঘরে খলিফা হারুন অর রশিদের শাসনামলের রুপার মুদ্রাসহ বিভিন্ন সময়ের প্রাচীন মুদ্রা, কয়েক হাজার পোড়ামাটির ফলকচিত্র, পাথরের মুর্তি, তাম্রলিপি, শিলালিপি ইত্যাদি স্থান পেয়েছে। বিহারের চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

নওগাঁ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা: নওগাঁ থেকে বাসে ও অটোরিকশা রিজাভ করে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে যাওয়া যায়। বাসে জনপ্রতি ভাড়া ৩০ টাকা। নওগাঁ শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজাভ নিলে ভাড়া নেবে ৫শ টাকা। এতে ৫ জন যাওয়া যায়। পতিসর কুঠিবাড়ী: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত পতিসর কুঠি বাড়ী। নওগাঁ শহর থেকে প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে আত্রাই উপজেলার নাগর নদের তীরে পতিসর কুঠিবাড়ী অবস্থিত। পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত কালিগ্রাম পরগনার জমিদারী দেখাশোনার জন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯১ সালে সর্বপ্রথম পতিসরে আসেন। জমিদারী দেখা-শোনার জন্য এলেও প্রকৃতি ও মানব প্রেমী কবি অবহেলিত পতিসর এলাকার মানুষের জন্য দাতব্য চিকিত্সালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ অনেক জনহিতৈষী কাজ করেন। এখানকার কৃষকের কল্যাণে নোবেল পুরস্কারের ১ লাখ ৮ হাজার টাকা দিয়ে তিনি এখানে একটি কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। কবির সাহিত্য সৃষ্টির একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে পতিসর। পতিসরে বসেই কবি চিত্রা, পূর্ণিমা, সন্ধ্যা, গোরা, ঘরে-বাইরেসহ অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে পতিসর কুঠিবাড়ী। নওগাঁ থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা: নওগাঁ থেকে সরাসরি পতিসরে বাস যায় না। আত্রাই অথবা রানীনগরে বাস থেকে নেমে অটোরিকশা অথবা রিকশা-ভ্যানযোগে পতিসর যাওয়া যায়। শহর থেকে মাইক্রোবাস অথবা অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়েও প্রতিসর ঘুরে আসা যায়।

ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ: সাড়ে চারশ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ। নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে নওগাঁ রাজশাহী মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত কুশুম্বা গ্রাম। এ গ্রামের বিশাল আকৃতির দীঘির পশ্চিম পাড়ে ধুসর বর্ণের ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদ অবস্থিত। বাংলায় নিযুক্ত আফগান শাসক গিয়াস উদ্দীন বাহাদুর শাহেব আমলে জনৈক সোলায়মান ১৫৫৮ খিস্টাব্দে এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের চার কোণায় রয়েছে ৪টি মিনার, মিনারগুলো মসজিদের দেয়াল পর্যন্ত উঁচু ও আট কোণ বিশিষ্ট। ছাদের উপর রয়েছে মোট ৬টি গম্বুজ। মসজিদের উত্তর দিকের মেহরাবের সামনে পাথরের পিলারের ওপর তৈরি করা হয়েছিল একটি দোতলা ঘর। এই ঘরটিকে বলা হতো জেনান গ্যালারী বা মহিলাদের নামাজের ঘর। মসজিদের ভেতরে পশ্চিমের দেয়ালে রয়েছে ৩টি চমত্কার মেহরাবের ওপর ঝুলন্ত শিকল, ফুল ও লতা পাতার কারুকার্য। মসজিদের সম্মুখ ভাগে রয়েছে খোলা প্রাঙ্গণ ও পাথর বসানো সিঁড়ি যা দীঘিতে গিয়ে নেমেছে। বাংলাদেশের ৫ টাকা নোটে এ মসজিদটির ছবি রয়েছে। নওগাঁ থেকে সরাসরি রাজশাহীগামী বাসে কুশুম্বা মসজিদে যাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া নেবে ৩০ টাকা। দিবর দীঘি: নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিঃ মিটার ও পত্নীতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিঃ মিটার পশ্চিমে সাপাহার-পত্নীতলা সড়কের পাশে হাজার বছরের প্রাচীন এ দীঘিটি অবস্থিত। বৃহত্ এ দীঘি ও দীঘির চারপাশের সবুজ বৃক্ষরাজি মুগ্ধ করবে আপনাকে। নওগাঁ থেকে সাপাহারগামী বাসে দিবস দীঘিতে যাওয়া যায়। জনপ্রতি ভাড়া নেবে ৫০ টাকা। কোথায় থাকবেনঃ নওগাঁ শহরে থাকার জন্য ভাল মানের বেশকিছু এসি, ননএসি আবাসিক হোটেল ও মোটেল আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— মোটেল চিস্তিয়াঃ মোটেল চিস্তিয়া নওগাঁর ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত। ভাড়া- এসি রুম ১ হাজার ৮শ থেকে ৫ হাজার টাকা। নন এসি রুম ৪শ ৮০ থেকে ১ হাজার। মোবাইল ফোন: ০১৭২০৫৪৪৪৪৫। হোটেল অবকাশঃ হোটেল অবকাশ পার নওগাঁয় অবস্থিত। ভাড়া- এসি রুম ৪শ, নন এসি ৩শ। মোবাইল ফোন: ০১৭১১৫৮২১৬০। হোটেল যমুনাঃ হোটেল যমুনা নওগাঁ লিটন ব্রিজের পাশে অবস্থিত। ভাড়া- ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। মোবাইল ফোন: ০১৭১৬২৮৪০০০। হোটেল আরিফঃ হোটেল আরিফ নওগাঁর কাপড় পট্টিতে অবস্থিত। ভাড়া- ২শ থেকে ৩শ টাকা। মোবাইল ফোন: ০১৭৫৩৪২৭৬৮৫। এছাড়া ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ও পতিসর কুঠিবাড়ীতে সরকারি ডাক বাংলো রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এসব ডাক বাংলোতেও থাকতে পারবেন। পাহাড়পুর ডাক বাংলোঃ ভাড়া- সিঙ্গেল ৫শ থেকে ৭শ। ডাবল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪শ টাকা। মোবাইল ফোন: ০১৭১১৩০১২৭৪ (কাস্টডিয়ান) পতিসর ডাক বাংলোঃ ভাড়া- এসি রুম ৪শ, সাধারণ ৪০ টাকা। মোবাইল ফোনঃ ০১৭১৭১৫৪৬৯২ (কেয়ারটেকার)। Next

                                           

PAGE 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 20 21 22 23 24 25 26 27 28 29 30 31 32 33 34 35 36 37 38 39 40